গাজীপুরে আবাসিক হোটেলে জমজমাট দেহব্যবসা

গাজীপুরে আবাসিক হোটেলে জমজমাট দেহব্যবসা

সাগর আহামেদ মিলন গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরে কোনাবাড়িতে চলছে অবাধে জমজমাট দেহব্যবসা। এই সব দেহব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী ও মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহবধূরা। অতিরিক্ত আয়ের লোভে এমন কি গার্মেন্টস কর্মীরাও এ পেশায় জড়িয়ে পড়ছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, গাজীপুর কোনাবাড়ি এলাকায় আবাসিক হোটেল রয়েছে।

গাজীপুরে আবাসিক হোটেলে জমজমাট দেহব্যবসাএসব আবাসিক হোটেলে প্রতিদিন প্রায় চার শতাধিক যৌন কর্মী সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত এবং রাতের বেলায় আবারও অন্য গ্রুপ এসে পরের দিন সকাল পর্যন্ত দেহব্যবসা করে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যায়। এদের অনেকের অভিভাবক, স্বামী কিংবা বাবা-মা তারা কেউ জানেন না মেয়েদের এসব বিপথগামিতা। বিভিন্ন চাকুরী বা পেশার আড়ালে এসব আনন্দ ফূর্তি করে বেড়াচ্ছে। আবাসিক হোটেলে অনেকেই আবার ভুয়া স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে পাঁচশ টাকায় একটি রুম ভাড়া নিয়ে কয়েক ঘন্টা অবস্থন করে চলে যায়। তাদের মধ্যে বেশির ভাগ স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী ও অন্যের স্ত্রী রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, অভিজাত পরিবারের স্কুল- কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়েরাও হোটেলে একান্তে সময় কাটায়। অনেক হোটেলের রুম মাদক সেবন ও জুয়ার জন্যও ভাড়া দেয়া হয়ে থাকে। হোটেলের লোকজন মাদকসেবীদের চাহিদা অনুসারে ফেনসিডিল, ইয়াবা, মদসহ বিভিন্ন নেশাদ্রব্য এনে দেয়।কয়েক মাস পর্বে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এর নেতৃত্বে ভ্রম্যমান অাদালত দিয়ে ঝটিকা অভিযান করলে এলাকাবাসী সাধুবাদ জানায়। কিন্তু এই অভিযান স্থায়ী হচেছ না। অভিযানে অর্ধশতাধিক দেহপসারিনী আটক করলে দেখা গেছে তার মধ্যে বেশির ভাগ ছিল অন্যের স্ত্রী ও স্কুল- কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী। এদের মধ্যে একজন ছিল বড় ভাইয়ের স্ত্রী। পরে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছিল। তার পরে অাবার ও অবাধে ভাবে চলছে গাজীপুর কোনাবাড়ি আবাসিক হোটেলে জমজমাট দেহব্যবসা এবং মাদক সেবন ও চলছে। এসব আবাসিক হোটেলের মধ্যে অাশ পাশে অবস্থিত রয়েছে, অাবাসিক হোটেল মুন, হোটেল ড্রীমল্যান্ড ও হোটেল আবাসিক গোল্ডেন সান। এই সব প্রতিটি আবাসিক হোটেলে রয়েছে নানা বয়সের যৌন কর্মী। হোটেল মালিকরা ফ্রি স্টাইলে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নির্ভয়ে চালাচ্ছে এসব অসামাজিক কার্যকলাপ। দেহব্যবসার সাথে নিয়োজিত ড্রীমল্যান্ড এর ম্যানাজার মহাসিন সঙ্গে আলাপ কালে তিনি জানান,সোস্যাল মিডিয়া ও পত্রিকায় নিউজ করলে আমাদের কিছুই হবে না। তার কারণ জানতে চাইলে মাতাল অবস্থায় মহাসিন জানায়, গাজীপুরের প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে রয়েছে মোটা অংকের লেনদেন। স্থানীয় প্রসাশন ম্যানেজ করেই তারা চলে। এসব হোটেল থেকে নিয়মিত মাসোহারা অর্থ পায় বলে এসব অপকর্ম গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে না। প্রশাসনের রহস্যজনক নীরবতায় এসব অনৈতিক ব্যবসা দিন দিন অাবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment